২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে হরিবাসর কীর্তন শিখানোর কথা বলে কিশোরী শিখা মালো (১৫) নামে এক কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে দলের সদস্য দীজেন মহন্তকে (৫০) গ্রেফতার করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
৩০ আগস্ট বুধবার রাতে কিশোরীর বাবা সুধীর মালো(৫২) বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। অভিযুক্ত দীজেন মহন্ত উপজেলার পৌর শহরের শহরগাছি হঠাৎ পাড়ার মৃত ভোলা নাথ মহন্তের ছেলে। অপরদিকে ধর্ষনের শিকার ওই কিশোরীর বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাজিৎপুর গ্রামে।
ঘটনার আগে ১৯ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যা অনুমান ৭ সাতটায় অভিযুক্ত ব্যক্তি দীজেন মহন্ত ওই কিশোরীর বাড়িতে যান এবং পরের দিন ২০ আগস্ট রবিবার বাড়িতে ভোগ অনুষ্ঠানের কথা বলে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। দীজেন মহন্তের বাড়িতে ভোগ অনুষ্ঠান শেষে, আগে থেকেই ঠিক করে রাখা বগুড়া সোনাতলায় এক কীর্তন অনুষ্ঠানে কিশোরীকে নিয়ে যায়। ২৫ আগস্ট শুক্রবার রাতে কীর্তন শেষে দীজেন মহন্ত শিখা মালোকে আবার নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ২৬ আগস্ট শনিবার গভীর রাতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। সে সময় কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ধর্ষক দীজেন মহন্ত মুঠোফোনে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তার পরিবার সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাদের মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ভূক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই কিশোর মালো(২৪) জানান, কয়েক মাস আগে দীজেন মালো হরিবাসর ্অনুষ্ঠান করার জন্য আমাদের গ্রামে কীর্তনের দল নিয়ে যান। হরিবাসর কীর্তন দলের সদস্য দীজেন মহন্তের সাথে আমাদের পরিবারের পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে উঠে এবং আমার ছোট বোনকে দেখে বলে ওর কন্ঠ অনেক ভাল! আমাদের দলে দিলে অনেক ভাল করবে। আমরা সরল মনে তার কথা বিশ্বাস করার কারণে আজ এই সর্বনাশ হলো।
ঘোড়াঘাট থানার ্অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকে আমরা সন্দেহভাজনকে চোখে চোখে রেখেছিলাম। ঘটনার কয়েক দিন পর হাসপাতালে ওই কিশোরী অনেকটা সুস্থ হলে ৩০ আগস্ট বুধবার রাতে দীজেন মহন্তের বিরুদ্ধে কিশোরীর বাবা এজাহার দায়ের করলে আমরা তাকে গ্রেফতার করি।